মোয়াজ্জমপুর উচ্চ বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান
- আপলোড সময় : ১৭-১০-২০২৪ ১২:৩১:৩৬ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৭-১০-২০২৪ ১২:৩১:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ::
তাহিরপুর উপজেলা মোয়াজ্জমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন গত ৮ অক্টোবর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রদান করা হয়েছে।
গত ৩০/০৯/২০২৪ইং তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মোয়াজ্জমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আসেন। এ সময় উপস্থিত ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় প্রধান শিক্ষকের অর্থ আত্মসাতের বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দেন এবং সদস্যদের নানা নির্দেশনা দেন।
উল্লেখ্য, তাহিরপুর উপজেলা মোয়াজ্জমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হিমাংশু রঞ্জন তালুকদার ও সদস্য মোঃ আবুল খায়ের।
এ বিষয়ে দৈনিক সুনামকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরে সরেজমিনে এসে তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিদ্যালয়ের অর্থ অনিয়মের বিষয়টি তদন্ত করেন।
ওই সময় বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় নিরিক্ষণ করার জন্য ওই বিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষক ও একজন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে দায়িত্ব অর্পণ করেন। ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা আয়ের উৎস-১ জানুয়ারি ২০২৩ইং হতে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ইং পর্যন্ত সেশন, বেতন, পরীক্ষার ফি, টিউশন ফি, অনুদান, জমি ও অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখেন। এতে সর্বমোট আয়-১৫,৫৫,৩৬৯/- এবং সর্বমোট ব্যয় - ১৪,১৭,৮৬৭/- পেয়েছেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ী অবশিষ্ট রয়েছে ১,৩৭,৫০২/-টাকা।
দ্বিতীয় পর্যায়ের হিসাবে ১ জানুয়ারি ২০২৪ইং হতে ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং পর্যন্ত সর্বমোট আয়: ৪,৫৯,৫৫৯/- টাকা এবং সর্বমোট ব্যয়: ৩,৬৪,৭৯০/- পেয়েছেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব অনুযায়ী অবশিষ্ট রয়েছে জমা রয়েছে:-৯৪,৭৫৯/-টাকা।
উল্লেখ্য যে, ব্যয় বিষয়ে ভাউচার সমূহের পর্যালোচনা করে কোন কোন ভাউচারে ব্যয়ের পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে। যা অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ ফকির এবং সহকারী শিক্ষক গোবিন্দ লাল বিশ্বাসের অত্র ভাউচায়াদিসমূহে স্বাক্ষর করে অনুমোদন করেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও নিরীক্ষণ কমিটির সদস্য আনাছ মিয়া বলেন, ২০২৩ সাল ও ২৪ সালের হিসাব সপ্তাহব্যাপী খতিয়ে দেখে পাওয়া গেছে ২ লাখ ৩২ হাজার দুই শত একষট্টি টাকা। এই টাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা টাকার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিতে তিনি নানা টালবাহানা করেন। তিনি আরও বলেন, এই দুই বছরের ভাউচারে দুই শিক্ষক স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু এসব ভাউচারে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা মোয়াজ্জমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিরীক্ষণ কমিটির সদস্য ও সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদ বলেন, আয়-ব্যয় হিসাব শেষে যে অবশিষ্ট টাকা হিসাবে পেয়েছি। কিন্তু এই অবশিষ্ট টাকা কার কাছে আছে বা কোথায় আছে তা জানি না। এ নিয়ে নিরীক্ষণ কমিটি কেউ আলোচনাও করেনি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ